সুপার স্প্রেডারের তকমা পেতে চান? না চাইলে অবিলম্বে সংযত হোন |
এইমাত্র খবর এলো ফ্রান্স ইমারজেন্সি ঘোষণা করেছে করোনাকে সামনে রেখে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো দেখা হবে, কারফিউ জারি রাখা হবে ফের। করোনাকে সামলানো যাচ্ছে না। লন্ডনেও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। রাশিয়া ভয় পাচ্ছে সেকেন্ড ওয়েভের। চিন বলেই দিয়েছে দ্বিতীয় এপিসোড আসতে চলেছে।
অলিম্পিক বন্ধ, রিও কার্নিভাল বন্ধ, দর্শকশূন্য আইপিএল, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় ইভেন্ট বাতিল হয়েছে আর বাঙালি জুতো কিনছে মচমচিয়ে স্বর্গ যাবে বলে৷ পুজোর চারটেদিন প্যান্ডেলে ঘুরে নিমতলা বা ক্যাওড়াতলা যাবে বলে। হলো কী বাঙালির?
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবার ঠিক করেছে দর্শনার্থী ছাড়াই নমঃ নমঃ করে পুজো সারবে৷ বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। বাকি মণ্ডপগুলোও মোটামুটি তাই ভাবছে। যারা এবারও একশো কেজির সোনার প্রতিমা, হাজার টাকার ঝাড়বাতি,পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রতিমার কম্পিটিশনে আছে, তাদের আয়োজকদের সিম্পলি কোন করোনা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিস্থিতি জানুক। অজ্ঞতা থাকতেই পারে কিন্তু তাই বলে নির্লজ্জ রকম টাকা জলে ঢালা মেনে নেবেন না। পরিস্কার জানতে চান, জনকল্যাণমুখী কাজ কী কী করছে আয়োজকেরা, তবে চাঁদা দেওয়া হবে। দরকার পরলে বলুন, ডিজিটাল হোক পুজো, ঢাকি থেকে পুরোহিত সব্বার জন্য চাঁদা তোলা হোক। ওদেরও সংসার আলো হোক এই মরশুমে৷
আপনারা সুপার স্প্রেডার হতে চান? ভালো লাগবে গোটা পৃথিবী পুজো কমিটিগুলোকে সুপার স্প্রেডার বললে? ভাবুন জাস্ট৷ একটা প্যান্ডেলে দুজন যদি করোনা আক্রান্ত হয়, তার থেকে পাঁচজন সংক্রমিত হলে, সেখান থেকে কী কী হতে পারে? সেই পাঁচজন পাঁচটা প্যান্ডেলে ছড়িয়ে পরলো৷ সেখান থেকে আরো পঞ্চাশজন সংক্রমিত হলো। ইতিমধ্যে এরা সব্বাই একের পর এক প্যান্ডেলে ঘুরে বেরাচ্ছে। পঞ্চাশটা পাঁচশো হলো, এরা রোল খেলো, ফুচকা খেলো, গরম লাগছে বলে মাস্ক খুলে বাসে উঠলো, জোড়ে জোড়ে কথা বলতে গিয়ে ড্রপলেট আরো কুড়িজনকে আক্রান্ত করলো। সংখ্যাটা ভাবতে পারছেন? ভয় লাগছে না? মা বাঁচাতে পারবে এতোজনকে?
এতো বেড নেই, এতো বেড নেই, এতো বেড নেই, এতো বেড নেই, এতো বেড নেই, এতো বেড নেই, এতো বেড নেই, এতো বেড নেই, এতো বেড নেই। হাজার হাজার বার বলুন যাতে এই আহাম্মকদের মাথায় ঢোকে। যারা ভাবছে পুজোটা হোক আগে, পরে দেখা যাবে, করোনা নিয়ে আর ভাবছিনা। এদের বোঝান পুজোর পরে সংক্রমণের সুনামি হবে। অনেক মানুষকে হারিয়ে ফেলবো আমরা এভাবে।
শুধু হারানোর ভয় না, ফের লকডাউনের ভয়, ফের কারফিউ এর ভয়, ফের ট্রেন বাস অফিস বাজার বন্ধ হওয়ার ভয়, ফের সবকিছু স্তব্ধ হওয়ার ভয়, ভাতে মারার ভয়। ভয় পান। অকুতোভয় সেজে পুজো উদযাপনের আগে ভয় পাওয়া ভালো৷
খুব বড় এক ঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা। আমরা চাইলেই ললাটের লিখনটা বদলে দিতে পারি কিন্তু চেষ্টা করছি কই। এখনো সময় আছে। আবার লকডাউনের পরিবেশ তৈরি করবেন না, আবার মৃত্যু মিছিল দেখতে বলবেন না, ফের বেডের জন্য একটা মাকে হাহাকার করতে যেন না হয়- সুপার স্প্রেডার হতে চান? না চাইলে অবিলম্বে সংযত হোন। এবার উৎসব বন্ধ করুন। ছোট করে পূজা হোক, বোধন হোক, কলাবউ স্নান, সন্ধিপুজো হোক | এবার লড়ি। আসছে বছর আবার হবে।
PS. Pls circulate this msg to all frnds n family members
Comments
Post a Comment